যশাের ইনস্টিটিউটের জন্ম সেই ১৯২৮ সালে কিন্তু ১৯০৯ সালে টাউন হল স্থাপিত হওয়ার পরপরই ক্রীড়া বিভাগের জন্ম হয়। জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত ক্রীড়া ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগে গৌরবময় ঐতিহ্য ধারণ ও লালন করে আসছে। যশােরে জন মানুষের নির্মল ক্রীড়া বিনােদনের অন্যতম ক্ষেত্র হলাে যশাের ইনস্টিটিউট ক্রীড়া সংসদ। যশাের ইনস্টিটিউটের সক্রিয় সদস্যদের জন্য ক্রীড়া বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিভাগ উন্মুক্ত। প্রতিবছর তাস, ক্যারাম, লুডু, দাবা ইত্যাদি খেলা নিয়ে সদস্যবৃন্দের মধ্যে প্রতিযােগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ক্রীড়া বিভাগের সাথে অঙ্গাঙ্গীন ভাবে জড়িত টাউন ক্লাব ও শিশু চিত্ত বিনােদন কেন্দ্র। কিন্তু বিভাগ দুটি সতন্ত্র উপ কমিটি এবং বৈশিষ্ট নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। টাউন হল ক্লাব ভবন বর্তমানে ‘আলমগীর সিদ্দিকী’ হল নামে পরিচিত। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ২৫০ এর অধিক সদস্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, নবীন ও প্রবীন ক্রীড়ামােদীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অণ্যন্তরীণ ক্রীড়ায় অংশ গ্রহণ করে মনােরম নির্মল মিলন মেলার বাতাবরণ সৃষ্টি করে থাকেন।
ক্রীড়া বিভাগের বর্তমান উপকমিটির মেয়াদ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ শেষ হবে। এ বিভাগের চলমান কার্যকালে সম্পদকের দায়িত্বে আছেন জনাব মােঃ আব্দুল হামিদ চাকলাদার ইদুল। তরুণ উদিয়মান ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রীড়া বিভাগে উন্নয়নে বলিষ্ট ভূমিকা রেখে চলেছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে চারটি সাউন্ডবস্কসহ একটি ৪২ ইঞ্চি এল ই ডি টি ভি, একটি স্টিল আলমারি, একটি ফ্যান, তা ছাড়া শুধু ক্রীড়া বিভাগ নয় গােটা ইনস্টিটিউটের জন্য একটি সাব মার্সিবল পানির পাম্প বসিয়ে ক্রীড়া বিভাগ সহ সমগ্র ইনস্টিটিউটের জন্য সুপেয়। পানির ব্যবস্থা করেছেন। এখান থেকে আশপাশের বাসিন্দা এবং সাধারণ মানুষও পানি সংগ্রহ করে উপকৃত হচ্ছেন। বিগত তিন বছর খেলুড়ে সদস্যদের মাঝে লেখার প্যাড এবং কলম নিয়মিতভাবে সরবারাহ করে আস্থার সৃষ্টি করেছেন। তাঁর উদ্যোগে ক্রীড়া বিভাগের নামাঙ্কিত একটি বােড ও স্থাপিত হয়েছে। দৃশ্যমান উন্নয়নের ধারা অব্যহত রেখে আস্থার পরিবেশ বজায় রাখতে তিনি অত্যন্ত আন্তরিক।